উজ্জীবিত বাংলাদেশ:- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় কয়লা বোঝাই ট্রাকের চাপায় রুহুল আমিন নামে এক শ্রমিক ঘটনাস্থলেই প্রান হারিয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ফারুক পালিয়ে গেলেও হেলপার আলআমিনকে আটক করেন স্থানীয়রা। সোমবার ( ১১ মার্চ ) সকাল ১১টায় ধর্মগঞ্জ কয়লাঘাটে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,শরিয়তপুর থেকে আসা একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-২০-২০৩৬) ধর্মগঞ্জের হাজি শহীদুল্লাহ বেপারী এন্ড সন্স থেকে কয়লা বোঝাই শেষে পেছনে ঘুরাতে গিয়ে ইসলামী এন্টারপ্রাইজের সোহাগের লেবার রুহুল আমিনকে গাড়িটির পেছন দিন থেকে চাপা দেয়। এ সময় রুহুল আমিনের মাথায় চাপা পড়লে তার মাথার মগজ বের ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরন করেন তিনি এবং রুহুল আমিনের পেছনে থাকা একটি সেমিপাকা দোকানের দেয়ালটিও ভেঙ্গে যায়। নিহত রুহুল আমিন কিশোরগঞ্জ জেলার জালালপুর নিকলী গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। সে ধর্মগঞ্জ ঢালীপাড়া এলাকায় স্ত্রী,ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে আবেদ আলী মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। দূর্ঘটনার পরেই ধর্মগঞ্জ কয়লা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.মাজেদ মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
কয়লা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ট্রাকের মালিক শরীয়তপুরের হাজি সুলতান মাদবরের পক্ষে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হাসান অপু ফোন করে নিহতের পরিবারকে পুরো সহযোগিতার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা বলেন।
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.মাজেদ মিয়া লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১শ’শষ্যা হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এ সময় কয়লা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আসাদুজ্জামান নিহত রুহুল আমিনের পরিবারকে পুরোপুরি সহযোগিতার বিষয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের সাথে কথা বলেন এবং লাশ দেশে প্রেরনের জন্য নগদ ২৫০০০টাকাও তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেন।